কি অবস্থা !!!
নোভেল করোনা ভাইরাস !!! একটি নাম গোটা পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে , কার্যত জব্দ করে দিয়েছে । তাবড় তাবড় ডক্টর সাইন্টিস্ট নতজানু হয়ে পড়েছে এর সামনে । আমরা ফিরে যাই ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে যখন চীনের উহান প্রদেশে প্রথম একজন ব্যক্তি করোনার শিকার হলেন , তারপর ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বাড়তে থাকলো । এবং চীন থেকে
ইতালি,আমেরিকা,স্পেন,ফ্রান্স,জার্মানি,ইংল্যান্ড,জাপান, ভারত ,বাংলাদেশ আরো সব দেশে ছড়িয়ে পড়ল । এখন বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় ১৫০ তা দেশ করোনা দ্বারা আক্রান্ত ।
সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চীন, তারপরেই ইতালি এখন আমেরিকার মতো বিশ্বের প্রথম সারির দেশ করোনার ভয়ে গৃহ বন্দী ।
বর্তমানে ভারত সরকার ২১ দিনের lockdown ঘোষণা করেছেন আপাতত ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত , তবে পরিস্থিতি যেমন গড়াচ্ছে তাতে lockdown এর মেয়াদ আরো বাড়াতে হবে বলেই মনে হয় ।
হয়তো ৩ মাস ব্যাপী বা আরো দীর্ঘস্থায়ী হবে এই বন্দীদশা ।
এই পরিস্থিতিতে সব কিছুই একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে এবং আরো যাবে । এই সময়টাকে কি ভাবে ভালো কাটানো যায় তার একটা মোক্ষম বন্দোবস্ত করা প্রয়োজন ।
যদিও আমি নিজে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র তাই আমার ওয়ার্ক ফ্রম হোম ।তা হলেও সব সময় তো আর কাজ করা যায় না । তাই ভাবলাম এই সময় যদি দিনলিপি লেখার অভ্যেস করি তাহলে বেপারটা মন্দ হয় না । যেমন ভাবা তেমন কাজ। শুরু করে দিলাম। এটা এই কেমিক্যাল ওয়ার এর দলিল হয়ে থাকবে । আমি নিয়মিত এটা পাবলিশ করবো ।
সারা পৃথিবী কার্যত গৃহ বন্দী , এরকম অবস্থা দেখা তো দূরের কথা কারুর দুঃস্বপ্নেও এটা কল্পনাতীত ছিলো ।
তবে কল্পনা আর বাস্তবের ব্যাপক অসমন্যায় আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে কিছু বিষয় দেখিয়ে দিল সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না । ইতালির মতো বিশ্বের প্রথম সারির ইউরোপিয়ও দেশ আজ ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাচ্ছে যেন উনি তাদের এই প্রতিকুল পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করেন কারণ তাদের মেডিক্যাল ব্যবস্থা অসহায় হয়ে গেছে এবং বাস্তবিক ভাবে ইতালি সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে ।
ইউরোপের আর এক দেশ স্পেন ও বেশ খানিকটা ল্যাজে গোবরে কারণের মোকাবিলায় । আমেরিকায় এখনো পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যাটা নেহাত কম নয় ।
কিন্তু আমার এই নিয়ে কথা বলতে বিশেষ ইচ্ছা করছে না কারণ আপনারা অনেকেই করোনার কারন এবং ফলাফল নিয়ে সারাদিন টিভি , ইন্টারনেটএ শুনে শুনে বিষন্ন হয়ে পড়ছেন আমারই মতো , তাই সেই তেতো কথাগুলো থেকে দূরে থাকার জন্যই আমি এই লেখাটা শুরু করেছি । শুধু শেষ একটি নিবেদন রাখব , আমার মতো আপনারাও যত খারাপই লাগুগক না কেন দয়া করে অকারণে ঘর থেকে বেরোবেন না ।।
এবার আসি আমি এই বন্দীদশার কি কি ভালো দিক দেখেছি সেই প্রসঙ্গে অথবা আপনি বা আমি এর মধ্যে কোনো ভালো দিকগুলো খুঁজবো ।
সারা বছর তো কাজের চাপে পরিবার কে সময় দেওয়া হয় না , এখন পরিবারের সঙ্গে থাকুন । যদিও বন্ধু বান্ধব এর সাথে দেখা হবে না এই সময় , সোশ্যাল ডিস্টেন্সিঙ এর ব্যাপারটাও তো মাথায় রাখতে হবে তাই phone এ friend ছাড়া গতি নেই এখন ।